যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্যে মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করলে এই নির্দেশনা জারি করেছেন গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট।
কেউ এই নির্দেশনা অমান্য করলে তাকে ২৫০ ডলার জরিমানা আদায় করতে হবে। হতে পারে জেলও।
নির্দেশনা জারি করে গ্রেগ অ্যাবোট বলেন, মাস্ক পরে চলাচল করলে টেক্সাসকে ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করা যাবে এবং রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হবে।
তিনি বলেন, আমাকে নিশ্চয়তা দিন যে, এই নিরাপদ অভ্যাসটি পালন না করার জন্য আমার কাউকে কারাগারে পাঠাতে হবে না।
বিবিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যটিতে গত বুধবার একদিনে ৮ হাজারের বেশি করোনা শনাক্ত হয়েছে। যা ২ সপ্তাহ আগেও ছিলো ২,৪০০ জন।
টেক্সাসের গভর্নর এমন সময় মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করার প্রয়োজনীয়তা দেখছেন না।
একদিন আগে সাক্ষাতকারে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মানুষ যদি মাস্ক পরা উচিত বলে মনে করে, তাহলে পরবে।
তবে ট্রাম্প মাস্ক বিষয়ে পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে এখন ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছেন। তিনি প্রয়োজন হলে মাস্ক অবশ্যই পরবেন বলে জানিয়েছেন।
করোনার শুরু থেকে মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরার পরামর্শ দিলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট মুখে মাস্ক পরার বিরোধী ছিলেন। কিন্তু ভাইরাস ক্রামগত বৃদ্ধি পেলে তার পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
গত একদিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। ৫৭ হাজারের অধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছে।
করোনায় শীর্ষে থাকা এই দেশে এখন ২৮ লাখ ৩৭ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত।