চার বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের খোয়া যাওয়া ৮১ মিলিয়ন ডলার উদ্ধারে আবারও ফিলিপাইনের একটি ব্যাংক ও ক্যাসিনো সহ মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বাংলাদেশ। দেশটির ব্লুমবেরি রিসোর্টস কর্পোরেশন সোমবার ফিলিপাইন স্টক এক্সচেঞ্জকে জানিয়েছে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠান সহ আরও ১৬টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্কের একটি আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছে। এ খবর দিয়েছে সিএনএন ফিলিপিন্স ও মানবজমিন
খবরে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থ রুপান্তর, চুরি ও হাতিয়ে নেওয়া এবং সব কাজে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণা ও অনুপ্রবেশের অভিযোগও করা হয়েছে। ব্লুমবেরির ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অবশিষ্ট ১৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রিজ্যাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (আরবিসি) বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা হয়েছে। কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, এখন পর্যন্ত কোনো নোটিশ পাঠানো হয়নি। তবে আমরা কঠোরভাবে এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের বিরুদ্ধে লড়বো।
এর আগে আরএসবিসি ও স্থানীয় ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে করা বাংলাদেশের একটি মামলা প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। তবে ওই মামলায় বাংলাদেশ আপিল করেছে। ২০১৬ সালে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের নেটওয়ার্কে অনুপ্রবেশ করে নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
এসব অর্থ স্থানান্তরিত হয় ফিলিপাইনের আরসিবিসি-এর ভুয়া কিছু একাউন্টে। একাউন্ট থেকে অর্থ উঠিয়ে অন্য মুদ্রায় রুপান্তরিত করে ব্লুমবেরি ক্যাসিনো সহ বিভিন্ন ক্যাসিনোতে ঢুকিয়ে ফেলা হয়। সেখান থেকে ওই অর্থের হদিস আর পাওয়া যায়নি। মোট অর্থের মাত্র ১৭ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ব্লুমবেরি এর আগে মন্তব্য করেছিল, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকারদের কাছে খোয়া যাওয়া অর্থ আদালতে মামলার মাধ্যমে বের করতে চেষ্টা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।