করোনা সংক্রমণের কারণে গত কয়েক মাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক ব্যবহার বেশিরভাগ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনা ঠেকাতে সবাই বারবার হাত ধুচ্ছেন। আর বাইরে বের হলে বারবার হাত ধোয়া সম্ভব না হওয়ার কারণে ব্যাগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখছেন। কোনো কিছু স্পর্শ করার পরই হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিচ্ছেন। এক্ষেত্রে অবশ্যই অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
করোনার কারণে এই সময় অনেকে গাড়ির ড্যাশবোর্ডেও এক বোতল স্যানিটাইজার রেখে দিচ্ছেন। যখনই প্রয়োজন হবে যাতে সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় এই ভাবনা থেকে তারা গাড়িতে স্যানিটাইজার রেখে দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাড়িতে হ্যান্ড স্যানিটাউজার রেখে দেয়া মৌটেও ঠিক নয়। এতে ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ। সম্প্রতি বিভিন্ন দেশে এমন বেশ কিছু ঘটনা ঘটেছে, যেখানে গাড়ির ড্যাশবোর্ডে স্যানিটাইজার রাখার ফলে গাড়িতে আগুন ধরে গিয়েছে। তাই গাড়িতে স্যানিটাইজার রেখে দিলে মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটার ঝুঁকি থাকে। কারণ হ্যান্ড স্যানিটাইজারগুলোতে ৬০ শতাংশের বেশি অ্যালকোহলযুক্ত থাকে। যা ভাইরাস বিরোধী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘসময় বা অনেকদিন ধরে স্যানিটাইজার গাড়িতে রাখলে তাপমাত্রার তারতম্য ঘটে। এতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তারা বলছেন, রান্না করার আগেও হ্যান্ড স্যানিটাইজার লাগানো ঠিক নয়। এতে হাত পুড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। কারণ অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড স্যানিটাইজার তাপের সংস্পর্শে এলে বিস্ফোরণ হতে পারে। এছাড়াও বেশিরভাগ সময় এগুলো প্লাস্টিকের বোতলে সংরক্ষণ করা হয় বলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে।
গবেষণায় দেখা গেছে, গাড়ির যেখানে সরাসরি তাপ পড়ে, বিশেষ করে সামনের অংশে স্যানিটাইজার রাখা ঠিক নয়। এতে এর কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে, সঙ্গে মারাত্মক বিপদ ঘটার সম্ভাবনাও দেখা দেয়।