সিঙ্গাপুরের ভিসা প্রদানে দূতাবাসের দীর্ঘসূত্রতা

Apr-23, 2016 বিডি ট্রাভেল নিউজ ডেস্ক ভিসা বিষয়ক খবর

এক সময় মাত্র ৫-৭ দিনের মধ্যে ভিসা দিলেও ইদানিং ভিজিট ভিসা ইস্যু করতে দীর্ঘ সময় নিচ্ছে সিঙ্গাপুর দূতাবাস। অনেকেই আবেদনের দীর্ঘ এক মাসের অধিক সময় পার করেও ভিসা পাননি বলে জানিয়েছেন বাংলানিউজকে। ভিসার আবেদন বিষয়ে সিদ্ধান্ত না দিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই বিষয়টি দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে।
 
এমন একজন আবেদনকারী (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বাংলানিউজকে বলেন, এর আগে বেশ কয়েকবার চিকিৎসা বা পরিবার নিয়ে ছুটি কাটাতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলাম। সেই সময় আবেদনের মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই আমাকে ভিসা দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এবার প্রায় এক মাস পার হয়ে যাওয়ার পরেও ভিসা পাইনি। অনলাইনে চেক করলে শুধু ‘অ্যাপ্লিকেশন পেন্ডিং’ দেখাচ্ছে।
 
ভেরিফিকেশনের নামে অযথা ভিসা ইস্যুর বিষয়টি দীর্ঘদিন ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আরেকজন আবেদনকারী।
 
তিনি বলেন, সিঙ্গাপুরের ভেরিফিকেশন সিস্টেম অনেক উন্নত। শুধু পাসপোর্ট নম্বর দিয়েই ওরা একজন আবেদনকারীর পূর্বভ্রমণের সম্পূর্ণ ইতিহাস মুহূর্তেই জেনে নিতে পারে। আগে আমি কখনও সিঙ্গাপুরের কোনো আইন ভঙ্গ করিনি। সিঙ্গাপুর বা বাংলাদেশে আমার নামে কোনো খারাপ রেকর্ডও নেই। কাজেই আমার ভিসা ইস্যু না করে অযথা কালক্ষেপণ অযৌক্তিক।

আরেকজন আবেদনকারী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সিঙ্গাপুর সরকার আসলে বর্ণবাদী। ওরা বাংলাদেশিদের খুবই নীচু দৃষ্টিতে দেখে। এজন্যই যেকোনো অজুহাতে ওরা ভিজিট ভিসা বা চাকরির জন্য ওয়ার্ক পারমিট ইস্যু করতে ইচ্ছে করেই দেরি করে।

তিনি বলেন, সিঙ্গাপুর ইমিগ্রেশনের ওয়েবসাইটে (I.C.A) ঢুকলে দেখবেন, ওখানে ভিসা অ্যাসেসমেন্টের লিস্টে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে আফগানিস্থান, পাকিস্থান, ইরাক, ইরান ও সোমালিয়ার সঙ্গে রাখা হয়েছে। অথচ লিস্টে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ মায়ানমার ও ভারতকে প্রথম শ্রেণীতে রাখা আছে।
 
এ বিষয়ে জানতে ঢাকাস্থ সিঙ্গাপুরের দূতাবাসে ফোন করা হলে একজন কর্মকর্তা বলেন, ভিসা ইস্যুর বিষয়টি একান্তই দূতাবাসের নিজস্ব। সাধারণত কারো ডকুমেন্টস বা দেওয়া তথ্যে কোনো জটিলতা না থাকলে স্বল্প সময়েই ভিসা দেওয়া হয়। কারো বিষয়ে অধিক তদন্তের প্রয়োজন হলে, আমরা আবেদনটি সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকি। এক্ষেত্রে একটু বেশি সময় লাগতে পারে।

 

Related Post