ভারতে এসে আটকে পড়েছেন হলিউড অভিনেতা জিওফ্রে গিলানো। লকডাউনে রাজস্থানের জয়পুরের একটি হোটেলে রয়েছেন তিনি।
টাকা পয়সা ফুরিয়ে যাওয়ায় অনেকটা ভিখারির মতো জীবনযাপন করছেন এই অভিনেতা।
টাকা দিতে না পারায় হোটেল ছেড়ে দেয়ার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। ফলে মহাবিপদে পড়েছেন তিনি।
জিনিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিওফ্রে গিলানোর হাতে যা ছিল তা প্রায় সব শেষ। অগত্যা কলা, বাদাম খেয়ে কোনোরকমে দিন কাটাচ্ছেন ‘দ্য স্করপিয়ন কিং, ‘দ্য ফিফথ এক্সিকিউশন’ খ্যাত হলিউড অভিনেতা।
অভিনেতা জিওফ্রে গিলানোর বাড়ি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। ১২ বছরের ছেলে ইডেনকে নিয়ে ভারতে বেড়াতে এসেছিলেন ৬৬ বছরের এই অভিনেতা।শারীরিক সমস্যার কারণে লাইপোসেকশন করাতে হয় তাকে। এছাড়াও দাঁতের ডাক্তারের দ্বারস্থও হতে হয়েছে অভিনেতাকে।
যদিও করোনা ভাইরাসের কারণে দাঁতের চিকিৎসাও সম্পূর্ণ হয়নি। ভেবেছিলেন ছেলেকে ভারত ঘুরে দেখিয়ে দেশে ফিরে যাবেন। ইতিমধ্যেই ছেলেকে তাজমহলও দেখিয়েছেন তিনি। পরে ছেলেকে রাজস্থান ঘুরে দেখাতে জয়পুরে পৌঁছোন। এরই মাঝে হঠাৎ করে লকডাউন ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় আটকে পড়েন জিওফ্রে গিলানো।
জানা গেছে, জিওফ্রে ছেলে ইডেনকে নিয়ে থাইল্যান্ডের পাটায়াতে থাকতেন। ১৮ মার্চের পর ভারতে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গত ২৩ মার্চ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় থাই সরকার।
জিনিউজ জানায়, মোট ২ হাজার ডলার নিয়ে ভারতে এসেছিলেন জিওফ্রে। এখন সেই টাকা প্রায় শেষ। এখন বাদাম আর কলা খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন গিলানো। কখনও আবার ত্রাণের খাবারের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। এদিকে সঙ্গে এটিএম কার্ডও নিয়ে আসেননি জিওফ্রে গিলানো।
জানা গেছে, জিওফ্রে আমেরিকান নাগরিক হওয়ায় তিনি হয় তো কোনো বিমান ধরে দেশে ফিরতে পারবেন। কিন্তু ছেলেকে সেখানে নিয়ে যেতে পারবেন না। কারণ, তার ছেলে থাই নাগরিক। থাইল্যান্ডের কোনো নারীকে বিয়ে করেছিলেন জিওফ্রে।