আকর্ষণীয় ও অনুকুল পরিবেশ উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়ার কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান জানালেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর মারিসে আন পেইনির সাথে ফোনে আলাপকালে তিনি এ আহবান জানান।
ড.
মোমেন
বলেন,
এ
অঞ্চলের যেকোন
দেশের
তুলনায়
বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ
বিদ্যমান। অন্য
দেশ
থেকে
কোন
কোম্পানি এদেশে
বিনিয়োগ স্থানান্তর করতে
চাইলেও
বাংলাদেশ স্বাগত
জানাবে। তিনি
বলেন,
বৈশ্বিক সমস্যা
করোনা
মহামারির কারণে
সৃষ্ট
পরিস্থিতিতে বাংলদেশ সরকার
দেশে
কর্মসংস্থান বৃদ্ধি
করতে
চায়।
তিনি
বলেন,
বাংলাদেশ ১০০টি
অথনৈতিক অঞ্চল
সৃষ্টি
করছে
যেখানে
অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করলে
তারা
যেমন
লাভবান
হবে,
বাংলাদেশিদেরও কর্মসংস্থান হবে।
এছাড়া
বাংলাদেশে ২৮টি
হাইটেক
পার্ক
এবং
বিপুল
সংখ্যক
তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ
জনগোষ্ঠী রয়েছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে অস্ট্রেলিয়ার সহায়তা
কামনা
করেন।
তিনি
উল্লেখ
করেন,
রোহিঙ্গারা নিজ
ভূমি
মিয়ানমারে ফিরে
গেলেই
কেবল
তাদের
ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হতে
পারে।
অনুকুল
পরিবেশ
সৃষ্টি
করে
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে ফিরিয়ে
নেওয়ার
ওপর
গুরুত্বারোপ করেন
ড.
মোমেন।
তিনি
বলেন,
রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের নাগরিক
নয়।
সম্পূর্ণ মানবিক
কারণে
বাংলাদেশ সাময়িকভাবে তাদের
আশ্রয়
দিয়েছে। মিয়ানমারে নির্যাতিত হয়ে
রোহিঙ্গারা গভীর
সমুদ্রে আশ্রয়
নিলেও
কোন
দেশ
তাদের
উদ্ধারে এগিয়ে
আসে
না।
অন্যান্য দেশেরও
উচিত
তাদের
দায়িত্ব নেওয়া।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ
করেন,
মানবিক
কারণে
সমুদ্র
থেকে
উদ্ধার
করা
কিছু
সংখ্যক
রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে রাখা
হয়েছে।
সাইক্লোন আম্ফানে সারাদেশে ব্যাপক
ক্ষতি
হলেও
ভাসানচরে এর
কোন
প্রভাব
পড়েনি।
তিনি
বলেন,সেখানকার রোহিঙ্গারা কিছু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে
পারবে।
ড.
মোমেন
উল্লেখ
করেন,
জাতিসংঘে কমনওয়েলথের কোন
অফিস
বা
প্রতিনিধি না
থাকায়
জাতিসংঘের আলোচনায় এ
সংস্থা
সদস্য
রাষ্ট্রেগুলোর স্বার্থ রক্ষায়
যথাযথ
ভূমিকা
রাখতে
ব্যর্থ
হচ্ছে।
জাতিসংঘের আলোচনায় প্রতিনিধিত্ব থাকলে
সংস্থা
হিসেবে
কমনওয়েলথের সক্ষমতা ও
কার্যকারিতা বৃদ্ধি
পাবে।
এসময়
ড.
মোমেন
করোনা
মহামারি অবস্থায় অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত ছাত্রসহ সেদেশে
বসবাসরত বাংলাদেশিদের সহযোগিতার জন্য
অস্ট্রেলিয়ার সরকারকে ধন্যবাদ জানান।