করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে হাত জীবাণুমুক্তকরণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাবান-পানির বিকল্প হলেও, বেশ কিছু ক্ষেত্রে সুরক্ষা প্রদানে এটি ব্যর্থ হতে পারে।
করোনা মোকবিলায় দুই মাসের বেশি ছুটিতে ঘরে অবস্থান করায় সাবান পানি আমাদের হাতের নাগালে ছিল। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আজ থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ঘরের বাইরে স্বাভাবিকভাবেই হাতের কাছে থাকবে না সাবান পানি। নির্ভর করতে হবে স্যানিটাইজারের উপর। কিন্তু স্যানিটাইজার বেশ কিছু ক্ষেত্রে সংক্রমণ ঠেকাতে ব্যর্থ হতে পারে।
হাত দৃশ্যমান নোংরা হলে: হাতে দৃশ্যমান নোংরা থাকলে স্যানিটাইজারের কার্যকারিতা ব্যর্থ হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সাবান পানি ব্যবহার করতে হবে।
হাঁচি-কাশির সংস্পর্শে আসলে: হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়ানো সংক্রমণ থেকে সুরক্ষায় স্যানিটাইজার ব্যর্থ হতে পারে। কেননা এক্ষেত্রে স্যানিটাইজার আপনার হাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করলেও, কারো হাঁচি-কাশির ক্ষুদ্র কণাগুলো নিঃশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করেও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। এক্ষেত্রে স্যানিটাইজারের চেয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা জরুরি।
সঠিক স্যানিটাইজার ব্যবহার না করা হলে: স্যানিটাইজারের দুটি প্রধান ধরন রয়েছে। অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজার ও অ্যালকোহলমুক্ত স্যানিটাইজার। অ্যালকোহলমুক্ত স্যানিটাইজার জীবাণু ধ্বংস অথবা ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা দমনে কম কার্যকর। তাই অন্তত ৬০ শতাংশ অ্যালকোহল আছে এমন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে অ্যালকোহলযুক্ত হ্যান্ড স্যানিটাইজার অন্তত ৯৯.৯ শতাংশ ভাইরাস, ফুঙ্গি ও ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করতে পারে।
সঠিক উপায়ে ব্যবহার না করলে: সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে স্যানিটাইজার হাত থেকে জীবাণু দূর করতে পারে না। সঠিক পরিমাণে স্যানিটাইজার নিয়ে উভয় হাতের দুই পৃষ্ঠে প্রয়োগ করে না শুকানো পর্যন্ত ঘষতে থাকুন। এসময় খেয়াল রাখতে হবে আঙুলের ফাঁক, হাতের উপরিতল ও নখ যেন বাদ না পড়ে।