কথা হয়েছে সুইপ্ট সলু-এশান ইভেন্টস এন্ড ট্যুরস এর সি.ই.ও কামরুজ্জামান পলাশের সাথে। হরতালের বিভিন্ন দিক নিয়ে ট্যুরিজম জগতের এবারের আলোচনা। এবারের আলোচনার অতিথি কামরুজ্জামান পলাশ।
ট্যুরিজম জগতে আপনার পরিচয় দিন?
ধীরে ধীরে ট্যুরিজম জগতে হারিয়ে যাই, আর ট্যুরিজমকে নিয়েই সামনে এগিয়ে যাওয়া। এখন বলার যোগ্যতা রাখি যে আমিও ট্যুরিজম জগতের লিডার হিসেবে কাজ করছি যার মূল লক্ষ্য ট্যুরিজম জগতের উন্নয়ন।
কয়বছর যাবত ট্যুরিজম জগতে রয়েছেন?
ছয় বছর কাজ করা হচ্ছে।
বর্তমান সময়ে আপনার প্রতিষ্ঠান নিয়ে বলুন?
সুইপ্ট সলু-এশান ইভেন্টস এন্ড ট্যুরস একটি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ফার্ম। আমরা মূলত পিকনিক এবং ফিশিং ইভেন্ট করে থাকি। www.picnicspotinbangladesh.com এ ঠিকানায় গেলে সব ধরণের তথ্য জানা যাবে।
উদ্দেশ্য
সর্বসুবিধা দিয়ে শ্রেষ্ঠত্ব রাখাই আমাদের লক্ষ্য। ভ্রমণপিপাসুদের সব ধরনের সার্ভিস ও সব ধরণের চাহিদা পূরণ আমরা করে থাকি।
মূলত আপনার প্রতিষ্ঠানের কাজ কি?
পিকনিক ইভেন্ট (পিকনিক স্পট ও রিসোর্ট), ফিশিং ইভেন্ট, ওয়েডিং ম্যানেজমেন্ট, কর্পোরেট ইভেন্ট এন্ড ট্যুরস, রোড শো ও নিরাপত্তা, রিভার ক্রুজ, কনফারেন্স, কনভোকেশন, সেমিনার, ট্রেইনিং প্রভৃতি কাজ করে থাকে আমাদের ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ও ট্যুরিজম দল।
সামাজিক ও রাজনৈতিক জটিলতা কি কি রয়েছে বলে আপনার মনে হয়?
এখানেতো অনেক সমস্যা। গল্প বললেও কম বলা হবে। সামাজিক মানসিকতা পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক ভারসম্য বজায় রাখাই পারে ট্যুরিজম জগতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে।
হরতালের অভিজ্ঞতা নিয়ে কিছু বলুন?
২০১৩ সালের মার্চের এক রাতে আরফেক গ্রুপের একটি প্রোগ্রামের উদ্দেশ্যে বিপুল কষ্ট পোহাতে হয়েছে হরতালের কারণে। ট্রান্সপোর্টেও অনেক ঝুঁকি নিতে হয়। নিরাপত্তা নেই কোথাও। আর হরতালেতো আরও নেই।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কিছু বলুন?
বাংলাদেশে একটি ফাইভ স্টার রিসোর্ট প্রতিষ্ঠা করা। ফিশিং স্পোর্ট জোন তৈরি করা।
সরকারি ও বেসরকারি কি কি পদক্ষেপ নিলে আপনার মনে হয় যে ট্যুরিজম খাতের উন্নয়ন আরও দ্রত হবে?
ট্রান্সপোর্ট সিস্টেমের উন্নয়ন, নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, রাজনৈতিক পরিবেশ শান্ত রাখা, জনসাধারণের মতামতের মূল্যায়ন, সরকারের ভেট ও ট্যাক্স কমিয়ে আনা, নতুন নতুন টুরিস্ট স্পট খুঁজে বের করা, এসকল পদক্ষেপ নিতে পারলেই দ্রুত গতিতে ট্যুরিজম খাতের উন্নয়ন সম্ভব হবে।
ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ।