বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) আগামী ১ জুন থেকে দেশের কয়েকটি বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট চলাচলের অনুমতি দিয়েছে। তবে এখনই আন্তর্জাতিক রুটে (চীন বাদে) ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা উঠছে না।
কবে নাগাদ এই নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে- জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ফ্লাইট আপাতত বন্ধ থাকবে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে পরবর্তীতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের অনুমতির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু আমরা নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে হবে না। অনেক দেশ বাংলাদেশে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। অর্থাৎ সেসব দেশে আমাদের ফ্লাইট ওঠা-নামা করতে পারবে না। তাই সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা ফ্লাইট চলাচল বন্ধই রাখছি। শুধুমাত্র চীনে ফ্লাইট চলাচল অব্যাহত থাকবে।’
এদিকে বেবিচকের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের ক্ষেত্রে অনেক বিদেশি ও অনাবাসী বাংলাদেশি দেশে ফিরবে। তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন রাখা কিংবা একসঙ্গে এত যাত্রীকে ম্যানেজ করার বিষয়ে এখনো প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়নি। প্রস্ততি সম্পন্ন হলেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল শুরু হবে।
এর আগে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে এই সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়িয়ে চীন বাদে সব দেশের সাথে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এই নিষেধাজ্ঞা পর্যায়ক্রমে ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে ও ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।