করোনাভাইরাস রোধে লকডাউনের কারণে পর্যটক সমাগম কমার পর প্রাণির বিচরণ বেড়ে যাওয়াসহ বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে পর্যটন এলাকাগুলোতে।
ফলে প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা করে পর্যটন নিয়ে নতুন করে ভাবার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো ও বেসরকারি পর্যটন ব্যবসায়ীরা পর্যটন শিল্পের পরিবর্তন নিয়ে সিদ্ধান্তের কথা ভাবছেন। করোনা দুর্যোগ শেষ হলে এ সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ আহমেদ।
এ সময় সম্মিলিত পর্যটন জোটের পক্ষ থেকে ১৭টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়। প্রস্তাবনাগুলো হলো-
১. বাংলাদেশের পর্যটন এলাকাগুলোর ধারণ ক্ষমতা নির্ণয়
২. পর্যটনসম্পদ শুমারি পরিচালনা
৩. পর্যটন গ্রাম স্থাপন
৪. পর্যটন প্রশিক্ষণ পলিসি তৈরি করা
৫. জাতীয় পর্যটন গবেষণা সিস্টেম প্রবর্তন
৬. ৬৪টি জেলায় ট্যুরিজম বোর্ডের অফিস স্থাপন
৭. ২৪ ঘণ্টা ট্যুরিজম হেল্প ডেস্ক ও সমন্বয় শাখা চালু
৮. ট্যুরিজম স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম প্রবর্তন
৯. বঙ্গবন্ধু পর্যটন পদক ও জাতীয় পর্যটন ট্রফি প্রবর্তন
১০. প্রান্তিক পর্যটনকর্মীদের জন্য আপদকালীন তহবিল গঠন
১১. পর্যটন রফতানির বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ
১২. ট্যুরিজম আইকন নির্ধারণ
১৩. জলাভূমি পর্যটনের নীতিমালা প্রণয়ন
১৪. ধর্মীয় পর্যটনের আওতায় বিশ্ব ইজতেমা, বুদ্ধিস্ট সার্কিট ট্যুরিজম, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য সীতাপিঠ ও অন্য আকর্ষণগুলোকে গড়ে তোলা
১৫. প্রতিদিন সেন্টমার্টিনে ১২০০ এর বেশি পর্যটক যেতে দেওয়া হবে না
১৬. সপ্তাহে একদিন সব ধরনের পর্যটক আগমন বন্ধ রাখা হবে
১৭. পর্যটনের কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণ।
এছাড়াও মিডিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালাতে হবে। পর্যটনের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পর্যটনের উন্নয়নে নানাভাবে সম্পৃক্ত করা হবে। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড একটি পূর্ণ ওয়েবসাইট আপ করবে।