বর্তমান পরিস্থিতিতে ও আগামীতে পর্যটকদের সুরক্ষায় যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংক্রান্ত উদ্যোগ, মূল্যছাড় ও ভিসা ফি রেয়াতের প্রস্তাব উঠে এসেছে দুই দেশের পর্যটন খাত সংশ্লিষ্টদের আলোচনায়।
বিশ্বজুড়ে কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার পর্যটন শিল্পে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা প্রয়োজন। এর অংশ হিসেবে বুধবার (১২ আগস্ট) অনলাইনে এক সভায় এসব নিয়ে কথা বলেন তারা।
সভার শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আউটবাউন্ড ট্যুর অপারেটরস ফোরামের (বোটফ) আহ্বায়ক চৌধুরী হাসানুজ্জামান রনি। তিনি মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ পর্যটন বোর্ডকে যৌথ প্রচারণার পরামর্শ দেন।
করোনা-পরবর্তী মালয়েশিয়ার পর্যটন ব্যবস্থার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার জ্যেষ্ঠ পরিচালক (আন্তর্জাতিক প্রচারণা, এশিয়া ও আফ্রিকা) মনোহরণ পেরিয়াসামি।
এ সময় ছিল ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার একটি ভিডিও প্রেজেন্টেশন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে করপোরেট গ্রুপ ট্যুর পরিচালনার ক্ষেত্রে যাত্রীদের নামের তালিকাসহ ট্যুরিজম মালয়েশিয়াকে অবহিত করলে ইমিগ্রেশনের বিষয়ে সহযোগিতা দেওয়া হবে।’
ট্যুরিজম মালয়েশিয়ার জ্যেষ্ঠ পরিচালক জানান, পুনরায় ই-ভিসা প্রদানের বিষয়টি বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের কাছে প্রক্রিয়াধীন আছে এবং মালয়েশিয়ান দূতাবাস থেকে পরবর্তী সময়ে তা প্রকাশ করা হবে।
বোটফের পরামর্শক ও পাটা বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাধারণ সম্পাদক তৌফিক রহমান মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘এক্সটেন্ডেড ডেস্টিনেশন ট্যুর প্রোগ্রাম’ চালুর প্রস্তাব দেন।
সভায় আরও ছিলেন সভায় ছিলেন বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জাভেদ আহমেদ, বোটফের সহ-আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল কাফি, স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ইফতেখার আলম ভূঁইঞা, বোটফের পরামর্শক জহিরুল আলাম ভূঁইঞা রোমান, লিগ্যাল অ্যাফেয়ার কমিটির কো-কনভেনার আখতারুজ্জামান, বোটফের পাবলিক রিলেশন কমিটির সদস্য আরিফুল হক। এছাড়া মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, এয়ার এশিয়া, মালিন্দ এয়ার ও বোটফের কর্মকর্তারা সভায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বোটফের ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার কমিটির কনভেনর তাসলিম আমিন শোভন। সবশেষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বোটফের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বোরহান উদ্দিন।