করোনাভাইরাসের কারণে বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে পর্যটন খাত। দেশে–বিদেশে ভ্রমণের প্রায় সব বুকিং বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে পর্যটন খাতের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিডি ট্রাভেল নিউজ এর সঙ্গে কথা বলেছেন, বিএফটিডি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এবং বিডি ইনবাইন্ড এর সভাপতি জনাব রেজাউল একরাম এর সাথে.....
করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে পর্যটন খাতের ব্যবসার কী অবস্থা ?
বর্তমান কথা যদি বলতে চাই, এক কথায় বলব যে আমাদের পর্যটনের বেহাল অবস্থা। পর্যটন ব্যবসার সাথে জড়িত প্রত্যেকটি সেক্টরের অবস্থা সূচনীয় যা আমরা বলে প্রকাশ করার মত নয়।
দেশের অভ্যন্তরীন পর্যটনের অবস্থা কী এবং এই নিয়ে আপনারা কী ভাবছেন ?
আমরা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সাথে কথা বলেছি, অভ্যন্তরীন পর্যটন নিয়ে আমরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছি, কি করে খুব তাড়াতাড়ি শুরু করা যায়। আপনি জানেন যে, ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীন কিছু ফ্লাইট চালু হয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীন পর্যটন চালু করার মধ্যে কিছু নিয়ম কানুন শক্তভাবে চালু করার চেষ্টা করছি। এরমধ্যে আমাদেরকে নিদিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে ভ্রমণ করতে হবে, হোটেল এবং যাতায়েতে দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল এবং রেড জোন, ইয়েলো জোন ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করতে হবে প্রত্যেকটি হোটেলকে। যাতে করে পর্যটক সুস্থ ভাবে ভ্রমণ করতে পারে এবং নিরাপদ থাকতে পারে।
করোনা কালীন সংকটের মধ্যে এবং করোনা পরবর্তী সময়ে পর্যটন ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ট্যুর অপারেটর / ট্রাভেল এজেন্টদের করণীয় কী হতে পারে ...
আমি ট্যুর অপারেটর / ট্রাভেল এজেন্টদের উদ্দেশ্যে অনেক কিছু বলার আছে এর মধ্যে সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ কথা হলো সবাইকে বর্তমানে শ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। আমরা অবশ্যই আবার আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারব কিন্তু তার জন্য আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।
মানুষজন কি দেশের বাহিরে ঘুরতে যেতে পারে ?
আশাকরি জুলাই মাসের শেষের দিকে আর্ন্তজাতিক কিছু রুটে পর্যটক ট্যুর করতে পারবে এশিয়া ভিত্তিক। কিন্তু ইউরোপে ভ্রমণ করতে আর কিছু সময় নিতে পারে।