নভেম্বর মাস বলতে গেলে ট্যুরিজম মৌসুম বলা যায়। সোজা কথায় বলা চলে যে, শীতকালে পর্যটকরা ভ্রমণের উদ্দশ্যে বেরিয়ে পড়ে এদিক-ওদিক। কেউ দেশের ভিতরে অথবা দেশের বাহিরে । আর এই পর্যটন মৌসুমে ট্যুরিজমের কি অবস্থা এবং এর সাথে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, এই নিয়ে কথা হল ট্যুর অপারেটরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) এর প্রেসিডেন্ট তৌফিক উদ্দিন আহমেদ এর সাথে-
প্রথমত, পর্যটন শিল্পের প্রচারনায় টোয়াবের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য,,,,,
আমি প্রথমেই বলতে চাই টোয়াব সকল ট্যুরিজম শিল্পের মূল কেন্দ্র বিন্দু। এক কথায় বলা চলে যে "মাদার বডি"। বর্তমানে আমরা একটি ট্যুরিজম লাইসেন্স এর জন্য কাজ করছি, যেটা সরকার থেকে দেওয়া হবে। এছাড়াও ইনবাউন্ড এবং আউটবাউন্ড কীভাবে আরো সমৃদ্ধ করা যায় তার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা করছি।
পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আরো কী করা যেতে পারে,,,,,
বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে বলব যে, এ্যাম্বুলেন্স অথবা মিডিয়ার গাড়ি দেখলে আমরা চিনতে পারি এগুলো হচ্ছে এই এই। তেমনি আমাদের ট্যুরিজম শিল্পে আলাদা কালার অথবা যে কোন চিহ্ন দ্বারা চিহ্নিত করতে হবে। যেন যে কেউ দেখলে বলতে পারে এটা পর্যটক বাহী গাড়ি। বিশেষ করে বিদেশী পর্যটকদের ক্ষেত্রে। এতে করে আমাদের দেশে পর্যটক আসার হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে এবং বিভিন্ন ঝুকির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আসছে, ডিসেম্বর ফেয়ার সর্ম্পকে বলেন,,,,,
আমরা প্রায় প্রতিবছরই এই মেলার আয়োজন করে থাকি। তেমনি এবারও ডিসেম্বর মাসে এই "টোয়াব ফেয়ার" শুরু হবে। এই মেলা আয়োজন করা হয় দুটি উদ্দশ্যে- এক, দেশে এবং বিদেশে বাংলাদেশের ট্যুরিজমকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। দুই, আমাদের দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ট্যুরিজম ব্যবসায়ীরা একত্রে হতে পারে। এতে করে ঢাকা-চট্রগ্রাম-রাঙ্গামাটি-বান্দনবান-সিলেট অর্থাৎ প্রত্যেকটি অঞ্চলকে একই সুতোয় গাথাঁ।
মেলায় আমন্ত্রিত বিদেশী ট্যুর অপারেটদের কোন ধরনের সুবিধা দেওয়া হবে কিনা,,,,,
হ্যাঁ, প্রত্যেক বছরের মত এবারও আমরা বিদেশী ট্যুর অপারেটদের কে হোটেল একুমোডেশান থেকে শুরু করে লোকাল যানবাহন সুবিধা দিচ্ছি এবং মেলার শেষ হওয়ার পর আমাদের দেশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখানো হবে। যাতে করে আমাদের দেশ সর্ম্পকে জানতে পারে।
পর্যটন শিল্পের বর্তমান অবস্থা,,,,,
এটা বলতে গেলে, প্রথমই বলতে হয় বর্তমানে ট্যুরিজমের অবস্থা নাজুক, কিন্তু খারাপ বলছি না। তবে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে। ট্যুরিজম মার্কেট মানে ডমেস্টিক মার্কেট নয়, এটি হচ্ছে ট্যুরিজম মার্কেটের একটি পার্ট মাত্র। মোটকথা ট্যুরিজম মার্কেট তৈরি হয় আর্ন্তজার্তিক মার্কেট কে কেন্দ্র করে। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক তোলপাড়ের কারণে বিদেশী পর্যটক আগের চেয়ে অনেকাংশে কম। কারণ একজন পর্যটক অনেক আগে থেকে চিন্তা করে রাখে আমি এবার হলিডেতে এই দেশে বা জায়াগায় যাব। কিন্তু দেশের যে কোন একটি হরতালের কারণে পুরো পরিকল্পনাই ব্যস্তে চলে যায়। এতে করে আমাদের পর্যটক শিল্পের সুনাম অনেকাংশে নষ্ট হচ্ছে।
হরাতালে, কীভাবে পর্যটনের ক্ষতি কমানো যায়,,,,,
হরতালের কারণে আমাদের ট্যুরিজমের যে ক্ষতি হয়েছে তা কোন ভাবেই পোষানো সম্ভব না। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের আকুল আবেদন পর্যটন শিল্পকে যেন হরতালের আওতাধীন করা না হয়।
আমাদের বিডি ট্রাভেল নিউজ এর সকল পাঠকদের উদ্দশ্যে কিছু বলুন,,,,,
আমি বিডি ট্রাভেল নিউজ এর সকল পাঠক বন্ধুদের এবং দেশের প্রত্যেকটি মানুষের উদ্দশ্যে বলতে চাই আমরা সবাই যেন পর্যটন সহায়ক এবং পর্যটক বান্ধব হই। এতে করে আমাদের পর্যটন শিল্পের সাফল্যকে ধরে রাখা সম্ভব হবে।