‘ট্যুর প্লানারস’ ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে আজ পযর্ন্ত শুধুমাত্র দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নেটওয়ার্ক পরিচালনাই নয় বরং নিশ্চিত করছে সম্ভব্য সকল সুযোগ-সুবিধার। দেশে এবং দেশের বাইরেও তারা একি রকম সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করছে। তাই বাংলাদেশ ও আর্ন্তজাতিক পযর্টন বাজারে তাই ‘ট্যুর প্লানারস’ একটি অন্যতম সুপরিচিত নাম। যারা ইরেজী, জাপানী, জামার্ন, চীনা ভাষা সহ আরো বিভিন্ন ভাষার দোভাষী গাইড নিয়ে প্রায় দু’দশকেরও বেশী সময় ধরে গ্রাহকদের সুলভ মূল্যে পযর্টন সম্পর্কিত সকল সুবিধা দিয়ে আসছে।
বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে পযর্টন সব সময় উপেক্ষিত। অথচ এই শিল্পকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের অর্থনীতির আমূল পরিবর্তন সম্ভব। কারণ আমাদের দেশের মত এত বৈচিত্রপূণ্য পযর্টন এলাকা পৃথিবীর আর কোথায় নেই। আমাদের রয়েছে পাহারপুর বোদ্ধ বিহার, কান্তজি’র মন্দির সহ নানা পুরাকীর্তি, এছাড়া সুবিশাল নদীপথ, পৃথিবীর সববৃহৎ সমুদ্র সৈকত, একি স্থানে বসে সূযার্স্ত ও সূযোদয় দেখার সুবিধা। কিন্তু তারপরও পযার্প্ত পরিমানে পযর্টক আমাদের দেশে আসতে পারছে না।
এর কারণ বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে এবং বাংলাদেশের পযর্টন এলাকাগুলোকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হচ্ছে না। সরকার পযটর্ন বলতে শুধু কক্সবাজার কেন্দ্রিক এলাকাকেই কেন প্রাধান্য দেয় এটা বোধগম্য নয়। দেশের বিভিন্ন এলাকাতে প্রচার বিমূখ বা একটু কম আলোকিত দর্শনীয় স্থানগুলোকে পরিকল্পিত পযর্টন এলাকাতে রুপান্তুরিত করা সম্ভব। প্রায় শুকিয়ে যাওয়া নদীগুলোকে ড্রেজিং করে তার হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারলে বিপুল সংখ্যক পযটর্ক এদেশে শুধু নৌভ্রমন করতে আসবে বলে আশা করেন ট্যুর প্লানারসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুল হক।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের সকল দর্শনীয় স্থান গুলোকে কেন্দ্র করে পর্যাপ্ত পরিমানে পযর্টকদের থাকার সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারলে এবং পযটর্ন শিল্পে পরিকল্পিত ভাবে সরকারি বিনোয়োগ করলে বা বেসরকারি বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে পারলে, শুধুমাত্র পযর্টনের উপর ভিত্তি করেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতে পারে।
ফরিদ আহমেদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বিডিট্রাভেলনিউজ.কম