নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ঈদুল আজহা পর্যন্ত কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতসহ হোটেল-মোটেল ও পর্যটন কেন্দ্রগুলো ঈদুল আজহা পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত জেলা কমিটির এক সভায় গতকাল শনিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ-সংক্রান্ত কার্যক্রমের সমন্বয়ক জ্যেষ্ঠ সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমদ।
সভায় হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, কক্সবাজারে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর হার বিবেচনায় প্রশাসন গত ৬ জুন কক্সবাজারকে দেশের প্রথম রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউন করেছিল।
পরে এক দফায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানোর পাশপাশি ১১ জুলাই পর্যন্ত জেলার রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্যরা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মাহবুব আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অনুপম বড়ুয়া, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. মহিউদ্দিন মো. আলমগীর, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
এ ছাড়া গতকাল শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সারা দেশেই করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। এ পরিস্থিতিতে সংক্রমিত এলাকা থেকে পর্যটকদের যাতায়াত বাড়লে জেলায় সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে। এ অবস্থায় ঈদুল আজহা পর্যন্ত খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। সংক্রমণ রোধে এ সময় ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করা হবে।
প্রতিবছর ঈদকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির পাহাড়ি জনপদে প্রচুর পর্যটক ছুটে আসেন। জেলার প্রধান পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝর্ণা, জেলা পরিষদ পার্কসহ চেনা-অচেনা পর্যটন কেন্দ্রে বিপুল পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ সময় হোটেল-মোটেল ব্যবসাও চাঙ্গা থাকে। তবে এবার ভিন্ন চিত্র।
পর্যটক না থাকায় বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ির সব হোটেল-মোটেল। গত ৮ মার্চ দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার পর গত ১৮ মার্চ খাগড়াছড়ির সব পর্যটন কেন্দ্র অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। একই সময় থেকে রাঙামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে। ঈদেও খাগড়াছড়ি থেকে কোনো পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেকে চলাচল করবে না।