করোনা পরীক্ষার ল্যাব কম ভোগান্তিতে বিদেশযাত্রীরা

Jul-27, 2020 বিডি ট্রাভেল নিউজ ডেস্ক বিমানের খবর

বাংলাদেশি নাগরিকদের বিদেশ যেতে করোনা নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হলেও ল্যাবরেটরির সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম। অনেক ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটে সময়মতো সনদ আপলোড হচ্ছে না, ফলে বিমানববন্দর থেকে যাত্রীদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ৭২ ঘণ্টার আগে নমুনা প্রদানের বিষয়টি। এসব কারণে বিদেশগামী যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

সনদ সংগ্রহের জন্য দেশের ১৪ জেলায় ১৬টি ল্যাব নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বাকি ৫০টি জেলায় কোনো ল্যাব নেই। বাংলাদেশ থেকে প্রতিদিন যে সংখ্যক লোক বিদেশ যাচ্ছেন, সেই তুলনায় ল্যাবের সংখ্যা কম বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আবার করোনা পরীক্ষার জন্য একটি পিসিআর ল্যাবে ৯৬টির বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যায় না। এ সীমাবদ্ধতার কারণে ল্যাবগুলো এর বেশি নমুনা সংগ্রহ করতে পারছে না।

যে ১৬টি ল্যাব সরকার নির্ধারণ করে দিয়েছে তা সরকারি। বেসরকারি পর্যায়েও ৪২টির মতো আন্তর্জাতিক মানের ল্যাব করোনা পরীক্ষার জন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিয়েছে। তাদেরও বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার অনুমতি দিলে বিদেশগামীদের ভোগান্তি অনেকটা কমে আসবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

জানা গেছে, এমনিতে পিসিআর ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও তা পরীক্ষা করতে দক্ষ জনবল প্রয়োজন। রাজধানীসহ ঢাকার বাইরে দক্ষ জনবলের খুব অভাব। আবার যান্ত্রিক সমস্যার কারণে অনেক মেশিন প্রায় অকেজো থাকছে। এ সব জটিলতার কারণে অনেক ক্ষেত্রে যাত্রীরা পরীক্ষার সনদ পাচ্ছেন ফ্লাইট ছাড়ার ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আগে। কেউ আবার নির্ধারিত সময়ে সনদই পাচ্ছেনই না। বিশেষজ্ঞরা


বলেছেন, বিদেশগামীদের করোনার সনদ সংগ্রহে ভোগান্তি কমাতে পরীক্ষা কেন্দ্র আরও বাড়াতে হবে। নইলে ভোগান্তি কমবে না। তারা বলেন, সামনের দিনগুলোতে বিদেশগামীদের সংখ্যা বাড়বে তখন নমুনা সংগ্রহের চাহিদা অনেক বাড়বে। যে কয়টি ল্যাব নির্ধারণ করা হয়েছে, ওই ল্যাব দিয়ে এত লোকের কোভিড পরীক্ষা করা সম্ভব হবে না।

জানা গেছে, গত ১৬ জুলাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বিদেশগামীদের জন্য করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে। নির্দেশনায় বিদেশ গমণকারীদের ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা প্রদান ও যাত্রার ২৪ ঘণ্টা আগে রিপোর্ট নিতে বলা হয়। নির্দেশনায় ২৩ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে আদেশ কার্যকর করার কথা বলা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা পাওয়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস তাদের বিদেশগামী যাত্রীদের জন্য সরকার ঘোষিত কোভিড-১৯ পরীক্ষা করে সনদ নিয়ে যেতে অনুরোধ জানায়।

জানা গেছে, বর্তমানে দেশে করোনার রোগী শনাক্ত করতে ৮১টি ল্যাবে কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৪৬টি এবং ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় ৩৫টি। এসব পরীক্ষার মধ্যে ১৬টি পরীক্ষাগারকে বিদেশগামীর করোনা পরীক্ষা করে সনদ গ্রহণের ঠিক করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক এএইচএম তৌহিদ হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, সরকারি নির্দেশনার পর যাদের কাছে করোনার নেগেটিভ সনদ পাওয়া যাচ্ছে না তাদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হেলথ সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ মনে করেন, ল্যাবের সংখ্যা না বাড়ালে সমস্যার সমাধান হবে না।

তিনি বলেন, ইমিগ্রেশন পুলিশ করোনার সনদ যাচাই করে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। অনেক সময় ল্যাব কিংবা সিভিল সার্জন অফিস থেকে সনদ ওয়েবসাইটে দিতে বিলম্ব হয়। সনদ যথাসময়ে ওয়েবসাইটে না পাওয়া গেলে ল্যাব বা সিভিল সার্জন অফিস থেকে ই-মেইলে পাঠানো পিডিএফ ফাইল থেকে হেলথ সেন্টার ছাড়পত্র দেয়। কিন্তু ওয়েবসাইটে না থাকলে অনেক ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন পুলিশ যাত্রীদের ফেরত পাঠায়।


ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, তারা দুটি সমস্যা দেখতে পাচ্ছেন। একটি হচ্ছে অপ্রতুল ল্যাব এবং দ্বিতীয়ত, ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। ৭২ ঘণ্টার সনদ রিপোর্ট নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও অনেকে পাঁচ দিন আগের সনদও নিয়ে আসছেন। আবার অনেকে সরকার নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের বাইরের প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়ে আসছেন, সে কারণে যাত্রীদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।

জানা গেছে, একটি পিসিআর মেশিনে সাধারণত ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা যায়। এর বেশি নমুনা জমা হলে বাড়তি চাপ তৈরি হয়। সব জেলায় ল্যাব না থাকায় এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গিয়ে নমুনা দিতে হয়। এতে ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা দিয়ে পরীক্ষার ফল পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ল্যাবের যে তালিকা দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। পরীক্ষাগার ও পরীক্ষার ফি নির্ধারণের বিষয়টি নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র বাড়ানো যেতে পারে। আমরা পরীক্ষার বাড়ানোর জন্য বলতে পারি।

বিদেশগামী কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নমুনা সংগ্রহে দীর্ঘলাইন, সময়মতো পরীক্ষার ফল না পাওয়া এবং ইমিগ্রেশনের অতিমাত্রায় কড়াকাড়ি মনোভাবের কারণে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে তাদের। সব জেলায় ল্যাব না থাকায় অন্য জেলায় গিয়ে নমুনা দিতে হচ্ছেÑ এটি বাড়তি ঝামেলা।

কাতার প্রবাসী এক যাত্রী বলেন, ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা পরীক্ষা দিয়ে তিনি সিডিউল ফ্লাইটে বিদেশ যেতে বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তার করোনা পরীক্ষার সনদ ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়নি। তাই তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রগামী অপর এক যাত্রীর অভিযোগ, তার জেলায় ল্যাবরেটরি না থাকায় অন্য জেলায় গিয়ে তিনি নমুনা দেন। দুদিন পর তার ফ্লাইট থাকায় সময় স্বল্পতার কারণে পরীক্ষার সনদ সংগ্রহ না করে বিমানবন্দরে চলে যান। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন তার করোনা পজিটিভ।

কেউ বলছেন, রাজস্ব বাড়তে সরকারি প্রতিষ্ঠানে করোনা পরীক্ষার বিষয়টি সীমাবদ্ধ রেখেছে। কেউ বলছেন, সরকারি নাগরিকদের ভোগান্তির বিষয়টি নিয়েও মোটেও ভাবছে না, নিজেরে খেয়াল খুশিমতো কাজ করে যাচ্ছে। বিদেশগামীদের জন্য করোনার পরীক্ষা সব সেন্টার উন§ুক্ত রাখা হলে যার যেখানে ইচ্ছা নমুনা দিয়ে পরীক্ষার সনদ নিতে পারবেন। এতে তাদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। এখন তাদের সরকারি সেন্টারগুলোতে পরীক্ষা করাতে গিয়ে পদে পদে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। বিদেশগামীদের ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সররকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান করোনার পরীক্ষার জন্য উন§ুক্ত করে দেওয়ার দাবি তাদের।

জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রগামী একই পরিবারের ৫ জনসহ মোট ৯ জনের নমুনা জমা পড়ে বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসে। এর মধ্যে একজনের রিপোর্ট ওইদিন রাত ৮টায় প্রদান করার হয়। বাকি আটজনের মধ্যে তিনজনের রিপোর্ট পরদিন পাওয়া গেলেও পরদিন ২৫ জুলাই রাত ৮টায়। বাকি ৫ জনের রিপোর্ট পাওয়া যায়নি কারণ মেশিন জানাচ্ছে তাদের ৫ জনের রিপোর্ট ইন্ডিটার্মিনেট (নট পজিটিভ বা নট নেগেটিভ)। যেহেতু লোকগুলোর ফ্লাইট সোমবার ২৭ তারিখ ভোরে। রবিবার সকালে তারা রিপোর্ট নিয়ে ঢাকায় রওনা হবে না, রিপোর্ট না পেয়ে চরম হতাশা হয়ে পড়েন। এর পর সিভিল সার্জন অফিস থেকে চেষ্টা তদবির করে গতকাল সকালে জরুরি ভিত্তিতে তাদের নমুনা পরীক্ষা দুপুর ২টায় রিপোর্ট প্রস্তুত করা হলো। এরপর যুক্তরাষ্ট্রগামী ওই ৫ জনের সনদ প্রিন্ট দিয়ে তাদের হাতে দেওয়ার পর এর পর তারা রিপোর্ট নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা করেন। যদি নির্ধারিত সময়ে তাদের রিপোর্ট অনলাইনে না যায় তা হলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রে গমনে অনিশ্চয়তা নেমে আসবে।

বরিশাল সিভিল সার্জন অফিসের একজন কর্মকর্তা জানান, বিদেশগামীদের মধ্যে যাদের ফ্লাইট রাতে তারা বেশি ঝামেলা পড়েন। নিয়ম অনুযায়ী ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা দিতে হলে রাতে নমুনা দেওয়ার কথা। কিন্তু ৪টার পর নমুনা সংগ্রহ বন্ধ থাকায় তাকে পরদিন সকালে নমুনা দিতে হয়। এর পর ওই ব্যক্তির পরীক্ষার নমুনা পরীক্ষা করে পরে সনদ দেওয়া হয়। ফলে অনেকে ফ্লাইট ছাড়ার ১০-১২ ঘণ্টা আগে সনদ পাচ্ছেন। এ সময়ের মধ্যে করোনার সনদ নিয়ে বরিশাল থেকে ঢাকায় গিয়ে ফ্লাইট ধরা একদিকে যেমন কষ্টকর অন্যদিকে খুবই টেনশনের বিষয়। করোনার সনদ পেতে বিলম্ব হলে মানুষ খুবই টেনশনে পড়ে যায়। যারা বিদেশে যাবেন তাদের ঢাকায় করোনার পরীক্ষা করে সনদ নিলে টেনশন কম হবে, আবার গ্রাম থেকে ঢাকায় যেতে যে সময় লাগবে সেটিও লাগবে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, ফ্লাইট ছাড়ার ৭২ ঘণ্টা আগে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে করোনার সনদ প্রদানে সমস্যা তৈরি হয়। বিশেষ করে যারা রাতে যাবেন তাদের ৭২ ঘণ্টা হিসেবে রাতে নমুনা দেওয়ার কথা। মূলত নমুনা সংগ্রহ করা হয় সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত, রাতে নমুনা দেওয়ার সুযোগ না থাকায় নমুনা নিতে হয় সকালে। এখানে নমুনা দেওয়ার আগেই কয়েক ঘণ্টা চলে যায়। আমরা নমুনা সংগ্রহের পর ওইদিন ল্যাবে পাঠিয়ে দেই। এসব নমুনা অন্যান্য কার্যক্রম সংগ্রহ করে পরদিন পরীক্ষার জন্য মেশিন তোলা হয়। এর পর রিপোর্ট পেতে বিকাল হয়ে যায়। এর মধ্যে মেশিনে কোনো ধরনের ত্রুটি হলে বা রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ না দেখালে পরদিন পুনরায় পরীক্ষা করে রিপোর্ট দিতে গিয়ে হয়। এতে করে সনদ পেতে আরও বিলম্ব হয। এতে করে নমুনা প্রদানকারীরা চরম টেনশনে থাকেন। আমার পরামর্শ হচ্ছে যারা বিদেশে যাবেন তাদের ঢাকায় করোনার পরীক্ষা করে সনদ নিলে টেনশন কম হবে।

গত ১৪ জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বেসরকারি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে বেসরকারি পর্যায়ের ৩৩টি পিসিআর ল্যাবরেটরির তালিকা দেওয়া হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ১৬ জুলাই তাদের বিদেশগামী যাত্রীদের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৩৩টি পিসিআর ল্যাবরেটরির তালিকা প্রকাশ করে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয়। এর পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ল্যাব নির্ধারণ করে দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়।

ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যাত্রীদের আবুধাবি ফ্লাইটের যাত্রা সময়ের পূর্বে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এবং দুবাই ফ্লাইটের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করোনা ভাইরাস টেস্ট সম্পন্ন করে রিপোর্ট সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। ফ্লাইট ছাড়ার ৬ ঘণ্টা পূর্বে চেক ইন কাউন্টারে অরিজিনাল রিপোর্ট দেখাতে হবে এবং রিপোর্টের ফটোকপি জমা দিয়ে বোর্ডিং পাস নিতে হবে। শুধু করোনা টেস্ট নেগেটিভ সনদধারী যাত্রীগণকে বোর্ডিং পাস দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে করোনা ভাইরাসের পরীক্ষার জন্য সরকার অনুমোদিত যেই ৩৩টি ল্যাবরেটরি- হাসপাতালের নাম প্রকাশ করে। তালিকায় এভারকেয়ার হাসপাতাল, স্কয়ার হাসপাতাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড, ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, আনোয়ার খান মডার্ন হসপিটাল, এনাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, ইউনাইটেড হসপিটাল, ল্যাবএইড হাসপাতাল ও ইউনির্ভাসেল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাম রয়েছে। কিন্তু এর দুদিন পর সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ১৬টি সরকারি পরীক্ষাগারের একটি তালিকা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দেয়। এর পর থেকে বিপাকে পড়ে বিদেশগামীরা।

Related Post