ঢাকা: করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে প্লেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে চীনের পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে দেশটির সঙ্গে প্লেন চলাচল চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৯ মার্চ) থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুধু চীন-বাংলাদেশ রুটে চলাচলকারী উড়োজাহাজ উড্ডয়ন ও অবতরণ করবে।
প্রথমদিকে দশটি দেশের সঙ্গে প্লেন চলাচল বন্ধ রাখার পর শুধু থাইল্যান্ড, চীন, হংকং ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্লেন চলাচল সচল রাখে বাংলাদেশ। পরে হংকং ও থাইল্যান্ড রুটে চলাচলকারী থাই এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিক যাত্রী সঙ্কটে ফ্লাইট কার্যক্রম স্থগিত রেখেছে।
শেষে ছিল কেবল যুক্তরাজ্য ও চীন। এরই মধ্যে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার ও লন্ডন রুটে ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত করে দিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। ফলে রোববার (২৯ মার্চ) থেকে চীন ছাড়া আর কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের প্লেন চলাচল থাকবে না।
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় গত ২১ মার্চ রাত ১২টা থেকে চীন, যুক্তরাজ্য, থাইল্যান্ড ও হংকং বাদে সব আন্তর্জাতিক রুটের ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ থেকে চীনে বর্তমানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, চায়না ইস্টার্ন ও চায়না সাউদার্ন ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। তবে যাত্রী সঙ্কটের কারণে সপ্তাহে এই তিন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সংখ্যা ১৮ থেকে তিনে নেমে এসেছে।
চায়না সাউদার্ন ও চায়না ইস্টার্ন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে গুয়াংজু রুটে চলাচলকারী চায়না সাউদার্ন এখন থেকে বৃহস্পতি ও শনিবার অর্থাৎ সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট চালাবে। চায়না ইস্টার্ন ঢাকা-কুনমিং রুটে একটি অর্থাৎ প্রতি বৃহস্পতিবার ফ্লাইট চালিয়ে যাবে। আগে এই রুটে চায়না ইস্টার্নের সপ্তাহে চারটি ফ্লাইট চললেও ১০ দিনে তাদের পাঁচটি ফ্লাইটের মধ্যে চারটিই যাত্রী সঙ্কটের কারণে বাতিল হয়েছে।
এছাড়া চীন রুটে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স আগে সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট চালিয়ে এলেও এখন তারা সপ্তাহে একদিন অর্থাৎ প্রতি রোববার গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট চালাবে।
ইউএস-বাংলা গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-পিআর) কামরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স ২৯ মার্চ থেকে কেবল প্রতি রোববার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে। আগে এই রুটে ইউএস-বাংলা সপ্তাহে সাতটি ফ্লাইট পরিচালনা করতো। করোনার প্রভাবে এই সংখ্যা কমিয়ে তিনে আনা হয়েছিল। এই সংখ্যা বর্তমানে এক করা হয়েছে।
সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর দেশে কেবল চার দেশের এয়ারলাইন্সগুলোই চলাচল করে। তবে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স, থাই লায়ন এয়ার আগে থেকেই ফ্লাইট চলাচল বন্ধ রেখেছিল। সর্বশেষ ২৬ মার্চ ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে থাই এয়ারওয়েজ।
যোগাযোগ করা হলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, যদি চলমান কোনো ফ্লাইটে (চীন) ঝুঁকি মনে হয় তাহলে আমরা সেই ফ্লাইটও বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবো।