বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সেবাদানকারী চিকিৎসকদের অবস্থান অথবা কোয়ারেন্টিনের জন্য রাজধানীর ২০টি হোটেলের তালিকা দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. আমিনুল হাসানের সই করা চিঠিতে এসব হোটেলের নাম প্রকাশ করা হয়।
চিঠিতে, কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় নির্ধারিত হাসপাতালে সেবাদানকারী ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য সদস্যদের অবস্থান বা কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্যে হোটেলগুলোর নামের তালিকা এবং রুমের সংখ্যাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের জন্য ২১০টি রুমের চাহিদা দিয়ে প্রস্তাবিত হোটেল হিসেবে উত্তরার ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য রুমের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ১১০ থেকে ১২০টি।
প্রস্তাবিত হোটেলের মধ্যে রয়েছে মহাখালীর হোটেল অবকাশ, হোটেল জাকারিয়া, হোটেল রেনেসাঁ। এছাড়া ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল, প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেল, প্যাসিফিক লেক ভিউ অ্যান্ড রিসোর্ট এবং লা-মেরিডিয়ান।
কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের জন্য উত্তরার হোটেল মেফোলিফ ও হোটেল মিলিনার নাম প্রস্তাব করা হলেও প্রয়োজনীয় রুমের সংখ্যা বলা হয়নি।
লালকুঠি বাজারের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য মিরপুর-১ এর গ্র্যান্ড প্রিন্স হোটেল, শ্যামলীর হোটেল শ্যামলী এবং মিরপুর-১ এর হোটেল ড্রিমল্যান্ডের নাম প্রস্তাব করা হয়। রুমের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৭০ থেকে ৮০টি।
কাকরাইলের রাজমনি ঈশা খাঁ, পল্টনের ফারস হোটেল এবং বিজয় নগরের হোটেল ৭১ এর নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বাবু বাজারের মহানগর জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরতদের জন্য। রুমের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৮০ থেকে ১০০টি।
কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৬০ থেকে ৭০টি রুমের। সেখানে প্রস্তাবিত নাম হিসেবে রাজারবাগের হোটেল সাগরিকা, হোটেল গ্র্যান্ড সার্কেল ইন এবং কমলাপুরের হোটেল শালিমারের কথা বলা হয়েছে।