সারাবছর কলকাতার মাটিতে নানা অনুষ্ঠান কর্মসূচির আয়োজন করে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনুষ্ঠান কর্মসূচির চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো; যেগুলো ২০১৯ সালের বিভিন্ন সময়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কলকাতায় মূলত নতুন বছরের শুরু হয় ‘আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা’র মধ্য দিয়ে। ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল ৪৩তম কলকাতা বইমেলা। সেই মেলায় ৩৬০০ বর্গফুট জায়গাজুড়ে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন থিম ছিল ঢাকার রোজ গার্ডেন। ৪২টি স্টলের মধ্যে আটটি সরকারি ও ৩৪টি বেসরকারি স্টল ছিল বাংলাদেশ প্যাভিলিয়নে।
বইমেলায় ১০ ফেব্রুয়ারী উদযাপন হয়েছিল ‘বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে বাংলাদেশ দিবস। বইমেলা চলেছিল ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এ নিয়ে ২১ জানুয়ারি প্রেস কনফারেন্স হয়েছিল উপ-দূতাবাসের কক্ষে।
১৫ ফেব্রুয়ারি উপ-দূতাবাসের উদ্যোগে সম্পূর্ণ বাংলাদেশের সিনেমা নিয়ে কলকাতায় শুরু হয়েছিল ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব। এর উদ্বোধন করেছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
একুশে ফেব্রুয়ারি উপ-দূতাবাস প্রাঙ্গণে পালন হয় ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। ওইদিন জাতীয় সংগীতের সঙ্গে পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছিল এখানেও।
এছাড়া ওইদিন কলামন্দিরের কলাকুঞ্জ সভাগৃহে এক বহুভাষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়েছিল। নেপাল, রাশিয়া, জার্মানি, থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোর কনস্যুলেট প্রতিনিধি এতে নিজেদের ভাষায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা উপস্থাপন করেছিলেন।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের ৪৮বছর পূর্তি উদযাপন করেছিল বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই ভাষণের গুরুত্ব তুলে ধরে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস কক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন হয়েছিল।
২৫ মার্চ দিনটি গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নারকীয় হত্যাযজ্ঞের আলোকচিত্র প্রদর্শন করার পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের তথ্যচিত্র প্রদর্শন করেছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এরপর ২৬ মার্চ নানা আয়োজনে উপ-দুতাবাসে পালন হয়েছিল স্বাধীনতা দিবস। সকালে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল এখানেও।
১৪ এপ্রিল নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ ১৪২৬ কে বরণ করে নিয়েছিল বাংলাদেশ উপ-দুতাবাস। মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করেছিল কলকাতার রাজপথে।
১৭ এপ্রিল কলকাতায় প্রতিবছর পালন হয় মুজিনগর দিবস। তবে এ বছরই প্রথম প্রথা ভেঙে কলকাতার অরবিন্দ ভবনে না হয়ে এই উপ-দূতাবাস প্রাঙ্গণে পালন হয়েছে মুজিবনগর দিবস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
এছাড়া ১৮ এপ্রিল উপ-দুতাবাস প্রাঙ্গণে উঠেছিল জাতীয় পতকা। পালন হয়েছিল বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন দিবস।
২৫ মে বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস কলকাতাবাসীর জন্য অয়োজন করেছিল ইফতার মাহফিল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার সর্বস্তরের সব ধর্মের বিশিষ্টজনেরা।
এরপর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে পালন করেছিল কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দুতাবাস।
উপ-দূতাবাসের উদ্যোগে গত ১ নভেম্বর কলকাতার মোহরকুঞ্জে শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ বইমেলা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন।
এরপর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উপ-দুতাবাস পালন করেছে বিজয় দিবস। এছাড়া ১৭ থেকে ২০ ডিসেম্বর চার দিনব্যাপী বিজয় উৎসব পালন করেছে কলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাস।