ভ্রমণের সময় সম্ভব হলে টুরিস্ট রেস্টুরেন্টগুলোকে এড়িয়ে চলাই অধিক ভালো। যেখানে বেড়াতে গিয়েছেন সেখানকার আশেপাশে ঘুরে, স্থানীয় মানুষেরা যেখানে খায় সেখানে খাওয়া-দাওয়া সারবেন। এখানে খরচটা কিছুটা হলেও কমবে।
ভ্রমণের খাবার-দাবারের ব্যাপারে প্রথমে যে জিনিসটি সকলের মাথায় রাখা উচিত তা হল হাইজেনিক। আপনি যে খাবারটি খাচ্ছেন তা স্বাস্থ্যসম্মত কি না তা অবশ্যই যাচাই করে নিন।
সম্ভব হলে সবসময় কিছু শুকনো খাবার সাথে রাখতে পারেন। ভ্রমণে এটি আপনাকে প্রচুর সহায়তা করবে।
স্থানীয় কোন ঐতিহ্যবাহী খাবার থাকলে তা অবশ্যই খেয়ে দেখতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে খাবার সম্পর্কে ভাল করে জেনে নেবেন।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্থানীয় কোন মোড়কজাত খাবার কেনার বেলায় এক্সপায়ার ডেটের ব্যাপারে লক্ষ্য রাখবেন এবং সাথে অবশ্যই মেনুফেকচার ডেট টিও দেখে নেবেন।
ভ্রমণে একবারে বেশী করে খাবার না গ্রহণ করাই ভাল এতে করে শরীরে আলস্য নিয়ে আসে যা ভ্রমণের ক্ষেত্রে কখনই কাম্য নয়।
সকালের নাস্তায় বেশির ভাগ সময় আঁশযুক্ত এবং শর্করা সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে চেষ্টা করুন। সাথে লো-ফ্যাট দধি, ফলজাতীয় খাবার, সিদ্ধ ডিম, চা-কফি ও খেতে পারেন।
দুপুরে আমরা ভারী বেশির ভাগ সময় খাবার খেতে অভ্যস্ত। তবে খাবার হওয়া উচিত কম মশলাদার, পরিমিত তেলে রান্না করা, সহজে পরিপাক হয় এমন। এক্ষেত্রে অধিক ভাঁজা-পোড়া না খাওয়াই উত্তম।
সারাদিনের ক্লান্তি শেষে দেহকে পুনরায় চাঙ্গা করতে রাতের খাবার হওয়া উচিত উচ্চ পুষ্টিগুণ সম্পন্ন এবং সহজপাচ্য।
ভ্রমণের খাবারে ফাস্টফুড আইটেম, বেভারেজ, ফ্লেভারড জুস, চিপস ইত্যাদি পরিহার করুন। এইসবের পরিবর্তে দেশীয় ফল খাওয়া যেতে পারে। খাবারের তালিকায় বেশি তেলে ভাজা খাবারের পরিবর্তে স্বাভাবিক খাবার রাখুন।