বেড়ানোর মৌসুম চলছে। দল বেঁধে বা পরিবার নিয়ে অনেকেই ছুটছেন পাহাড়, সমুদ্র বা জঙ্গলে। এক দিনের পিকনিকে যায় অনেকে। ভ্রমণ বা পিকনিকে যাওয়ার আগে প্রস্তুতির তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় খাবার। বেড়াতে গেলে ভারী খাবারের বন্দোবস্ত হয়তো থাকবে, কিন্তু টুকটাক খাবার তো সঙ্গে রাখতেই পারেন। পিকনিক অথবা ভ্রমণের জন্য শুকনো খাবার সঙ্গে রাখতে পারেন। বারডেম জেনারেল হাসপাতালের সাবেক পুষ্টিবিদ আখতারুন্নাহার আলো বলেন, বেড়ানো বা পিকনিকে ব্যাগের খাবার হওয়া চাই হালকা এবং সহজেই বহনযোগ্য। সে ক্ষেত্রে শুকনো খাবারই জনপ্রিয়। যাত্রা থেকে শুরু করে ঘরে এসে পৌঁছানো—এ সময়ের খাদ্যতালিকা হওয়া চাই যথেষ্ট পুষ্টিকর।
তাই ব্যাগে এমন খাবার নিতে হবে যা খেলে হজমেও কোনো সমস্যা হবে না। এ ছাড়া বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ এখন কম। যার ফলে শুষ্কতা এবং অনেকেরই পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয়। আর আবহাওয়ার এমন অবস্থা বিরাজ করবে পুরো ফেব্রুয়ারি জুড়ে। তাই নাশতা বা দুপুরে ও রাতের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় উপাদান থাকা চাই।
যেসব খাবার সঙ্গে নিতে পারেন
যদি কয়েক দিনের জন্য বেড়াতে যান, তাহলে ব্যাগে রাখতে পারেন খেজুর বা খুরমা, কিশমিশ, বিস্কুট, ফ্রুট কেক, ওয়ালনাট বা কাজুবাদাম, পিনাট বাটার, চিপস বা চানাচুর।
জেলি ও রুটি রাখতে পারেন। পানি অবশ্যই রাখা চাই। ফলমূলের মধ্যে কমলা, আপেল, কুল, নাশপাতি ইত্যাদি খেতে পারেন। তবে সকালে খালি পেটে শুধু ফল না খাওয়াই ভালো।
তবে এক দিনের জন্য পিকনিকে গেলে সকালের নাশতা খেতে হবে ভালো। শুকনো খাবারের তালিকায় পড়বে সেদ্ধ ডিম, ভেজিটেবল স্যান্ডউইচ ও সালাদ। খাবারের তালিকায় সবজি রাখার চেষ্টা করুন। চাইলে মাংসের সঙ্গে সবজি মিশিয়েও স্যান্ডউইচ, পেটিস তৈরি করে নিতে পারেন।
কেননা সবজি যা ফাইবারযুক্ত খাবার আপনার পানিশূন্যতার সমস্যা রোধ করবে।
আর যেকোনো শস্য-জাতীয় খাবার—যেমন ওটস, আটার তৈরি রুটিও কিন্তু শুকনো খাবারের তালিকায় চলে আসবে।