চার বছর আগে বাজেয়াপ্ত পণ্য খালাসের অনুমতি!

Jul-27, 2020 বিডি ট্রাভেল নিউজ ডেস্ক বিমানের খবর

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় চার বছর আগে বাজেয়াপ্ত করা অবৈধ পণ্য খালাসে মালিককে অনুমতি দিয়েছেন ঢাকা কাস্টমস কমিশনার। এ নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, ২০১৬ সালের জুনে ব্যবসায়ী মামুন হাওলাদার 'স্টক লট' উল্লেখ করে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে তিনটি লাগেজে দুই লাখ ১০ হাজার মেমোরি কার্ড আমদানি করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই পণ্য আটক করা হয়। এ সময় এই পণ্যের স্বপক্ষে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন মামুন। পরে বাজেয়াপ্ত করা হয় এ পণ্য।

এ সময় একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন মামুন। এতে বলা হয়, আটক পণ্য রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ আইনানুগ নিষ্পত্তি করলে তার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু চার বছর পর বর্তমান ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন সেই মেমোরি কার্ড আবার ছাড়ের অনুমতি দিয়েছেন। তিনি গত ১ মার্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাসহ মোট ৩১ লাখ ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে পণ্য খালাসের আদেশ দেন। জানা গেছে, মেমোরি কার্ড আমদানি নীতিমালা অনুযায়ী 'স্টক লট' উল্লেখ করে কোনো পণ্য আমদানি পুরোপুরি নিষিদ্ধ। তার পরও এমন ঘোষণা দিয়ে এসব মেমোরি কার্ড আমদানি করেন মামুন। সম্প্রতি কাস্টমস কমিশনার মোয়াজ্জেম এই পণ্য চালান খালাসে ৯ পাতার একটি বিচারাদেশও দিয়েছেন।

কাস্টমস কর্মকর্তারা বলেন, তৎকালীন ঢাকা কাস্টম হাউসের কমিশনার লুৎফর রহমানের সময় আটক এ পণ্যের প্রতিবেদনে চালানটির বাজার মূল্য ছয় কোটি ৩২ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয়। ব্যাগেজ রুলসবহির্ভূত নিষিদ্ধ পণ্য বহনের জন্য এসব মেমোরি কার্ডের মালিক মামুনকে শোকজ করা হয়। তার দেওয়া ইনভয়েসে স্টক লট পণ্য উল্লেখ রয়েছে। এভাবে আমদানি করা নিষিদ্ধ। এ-সংক্রান্ত ইনভয়েসের কপিও রয়েছে কাস্টমসে।

তৎকালীন কমিশনার লুৎফর রহমান মামুনকে প্রথমে শোকজ করেন। মেমোরি কার্ড আমদানির বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ওই ব্যবসায়ী এই পণ্যের মালিকানা দাবি করবেন না বলে ঢাকা কাস্টম হাউসে লিখিত দেন।

এ ব্যাপারে জানতে কমিশনার মোয়াজ্জেমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। ব্যবসায়ী মামুন বলেন, তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চার বছর পর বর্তমান কাস্টমস কমিশনার ওই মেমোরি কার্ড খালাসের আদেশ দেন। তবে পণ্য খালাসের জন্য বিমানবন্দর কাস্টমস গোডাউনে গিয়ে সেগুলো পাওয়া যায়নি। পরে ওই পণ্য চুরি হয়ে গেছে অভিযোগ করে সম্প্রতি ৪০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে এনবিআরে আবেদন করেছেন মামুন।

Related Post