গ্রীসে পাসপোর্ট দালাল সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে রাষ্ট্রদূতের সাফল্য,‘জিরো টলারেন্স’

Mar-08, 2014 বিডি ট্রাভেল নিউজ ডেস্ক এ্যাম্বেসীর খবর

বিশ্বের নানা প্রান্তে বেশ বাংলাদেশ দূতাবাসকে ঘিরে যখন অভিযোগের অন্ত নেই, শতশত পাসপোর্ট গায়েব হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সংঘবদ্ধ দালাল চক্রের শক্তিশালী সিন্ডিকেটের দৌরাত্মে যখন বিভিন্ন দেশে প্রবাসীদের ভোগান্তি সীমাহীন, দুর্নীতির রাহুগ্রাস মুক্ত নয় যখন অনেক মিশন, তখন সুপ্রাচীণ গ্রীক সভ্যতার পাদপিঠ এথেন্সে আশার প্রদীপ জ্বালালেন রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ।

একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধা, পেশাদার কূটনীতিক গোলাম মোহাম্মদ ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে গ্রীসের রাজধানীতে বাংলাদেশ দূতাবাসে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

গোলাম মোহাম্মদকে এমন এক সময় সুদূর ইন্দোনেশিয়া থেকে গ্রীসে নিয়োগ দেয়া হয় যখন এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস পরিণত হয়েছিল সংঘবদ্ধ দালাল-সিন্ডিকেট চক্রের জালিয়াতি আর লুটপাটের স্বর্গরাজ্যে। দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের প্রত্যক্ষ যোগসাজশে চিহ্নিত দালাল চক্র দূতাবাসের ভেতরে বাইরে গড়ে তোলে পাসপোর্ট পিসি, কেনা-বেচা, সার্টিফিকেট প্রদান সহ লক্ষ লক্ষ ইউরোর রমরমা বানিজ্য।

রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদ গত বছর দায়িত্ব নিয়েই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বন করলে শুরুতেই ভুক্তভোগীদের প্রশংসাভাজন হন, যদিও সিন্ডিকেট জগতে ঘটে ছন্দপতন। লক্ষ ইউরোর পাসপোর্ট বানিজ্যের ভাগ বাটোয়ারার অংশীদার দালাল-সিন্ডিকেট চক্রটি যথেষ্ট সময় নিয়ে রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদকে ম্যানেজ করার সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যায় দিন-রাত। বছর গড়িয়ে যায়, দালাল চক্র সুবিধে করে উঠতে না পারায় দূতাবাসের প্রতি ধীরে ধীরে আস্থা ফিরে আসে এথেন্সের হাজার হাজার বাংলাদেশির।

এথেন্স থেকে সাম্প্রতিককালের প্রোপাগান্ডা একদিকে রাষ্ট্রদূত গোলাম মোহাম্মদকে সাধারন প্রবাসীদের কাছে যেমন আরো মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে, অন্যদিকে দালাল-সিন্ডিকেট চক্রের প্রতি ভুক্তভোগীদের ঘৃণা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

Related Post